• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুতে ‘ইনডেমনিটি’র আওতায় হওয়া চুক্তির তথ্য চেয়েছে কমিটি

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

বিদ্যুৎ খাতে ‘ইনডেমনিটি’ দিয়ে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে এ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বোর্ড রুমে কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে এই কমিটির সদস্যরা প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে এসব তথ্য জমা দিতে হবে। কমিটির পরবর্তী বৈঠক আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকের বৈঠকে জ্বালানি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে (কমিটির ২য় বৈঠকে) জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে। পরে এই কমিটি সরকারের কাছে করণীয় বা সুপারিশ জমা দেবে। তবে এখন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিই প্রথম কাজ হিসেবে হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিধানের আওতায় চুক্তিবদ্ধ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ওপিডিবির কাছে থাকা তথ্য সাত দিনের মধ্যে জাতীয় কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।

এ সময় বৈঠকে কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন— বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক সিওও আলী আশফাক, ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ), বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল’ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান।

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় যেকোনও নথি নিরীক্ষা করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর আওতায় ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কি না, তা নিরীক্ষা করবে। নিরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক ও আনুষঙ্গিক সহায়তা প্রদান করবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –